ডাটা সায়েন্সে মাইক্রোসপ্ট এক্সেল জনপ্রিয় কেন?
2 min readMar 16, 2023
আমরা যে যেমন ফিল্ডের ই হই না কেন দিনশেষে আমাদের এক্সেলের কাজ জানতেই হয়। নিচে ডাটা সায়েন্সে এক্সেলের কিছু বেসিক ব্যবহার আলোচনা করা হল;
- ডাটা কালেক্শন এবং সংরক্ষণ: এক্সেল সহজেই বিভিন্ন ফরম্যাটের(CSV, TXT, এবং অন্যান্য ডাটা বেইস ফরম্যাট) ডাটা ইম্পোর্ট এবং সংরক্ষণ করতে পারে।এছাড়া ডাটা সায়েন্সে এক্সেল ব্যবহার করা হয় যাতে করে সহজে অন্যের সাথে ডাটা শেয়ার করা যায়।
- ডেটা ক্লিনিং: এক্সেল ডাটা ক্লিনিং, ডাটা সর্টিং, ফিল্টারিং, ডুপ্লিকেট মুছে ফেলাও এবং ডেটা প্রিপ্রসেসিং করার জন্য চমৎকার একটি টুল।
- ডাটা এনালাইসিস: এক্সেল বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত ফাংশন, ফর্মুলা, এবং টুল সরবরাহ করে যা ডাটা বিশ্লেষণে সহায়তা করে। রিগ্রশন, এনোভা, টি টেস্ট সহ অনেক ধরনের এনালাইসিসের জন্য এক্সেল বিখ্যাত।
- ডাটা ভিসুয়্যালাইজেশনঃ এক্সেলে রয়েছে পাই চার্ট,পিভট টেবিল, বার চার্ট, লাইন চার্ট সহ অনেক ডাটা ভিজুয়্যালাইজেশন টেকনিক।
- সহজলভ্য এবং জনপ্রিয়: এক্সেল বিশ্বব্যাপী প্রচলিত এবং অধিকাংশ কার্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই এর সাথে পরিচিত হয়ে যায়। এক্সেলের ইন্টারফেস সহজ এবং এটি অনেকের কাছে পরিচিত বিধায় শেখা ও ব্যবহার করা সহজ।
- কন্ডিশনাল ফরম্যাটিং: এক্সেলের কন্ডিশনাল ফরম্যাটিং বৈশিষ্ট্যটি ডাটার বিভিন্ন অংশের মধ্যে প্যাটার্ন চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
- এড-ইন: এড-ইন তৈরি করে ডাটা সায়েন্সের জন্য নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে পারেন।
- কাস্টম ম্যাক্রো এবং অটোমেশন: মাইক্রোসফট এক্সেলে VBA (Visual Basic for Applications) ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা কাস্টম ম্যাক্রো তৈরি করতে পারে। এটি ডাটা প্রসেসিং এবং অটোমেশনের জন্য বেশ কার্যকর।
- সহজ সংযোগ: এক্সেল অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন, ডাটাবেস, এবং টুলগুলির সাথে সহজে সংযোগ করতে পারে। এটি ওয়েব থেকে ডাটা আমদানি, কন্ভার্ট করা এবং এক্সপোর্ট করার সুবিধা দেয়।
- কম্পাটিবিলিটি: এক্সেল বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চলে, এবং এর ফাইল ফরম্যাট (.xlsx) বেশিরভাগ স্প্রেডশিট অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সংযোগযোগ্য। এটি ডাটা সায়েন্স দলের সাথে সহজে সংযোগ করা এবং ডাটা বিনিময়ের সুবিধা দেয়।
- টিম সহযোগিতা: মাইক্রোসফট 365 ব্যবহার করে, একটি দল একই এক্সেল ফাইলে সমান সময়ে কাজ করতে পারে। এটি সমন্বয় এবং সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য দারুণ হয়।
যদিও মাইক্রোসফট এক্সেল ডাটা সায়েন্সের জন্য প্রাথমিক টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করা জরুরি। যেমন:
- বৃহত ডাটাসেটের জন্য সীমাবদ্ধ: এক্সেলে সাধারণত বৃহত ডাটাসেটের সাথে কাজ করা সম্পন্ন করতে পারে না। বিশাল ডাটাসেটের জন্য, পাইথন, R, বা SQL এর মতো টুলস ব্যবহার করা উচিত।
- উন্নত মেশিন লার্নিং ও ডিপ লার্নিং: এক্সেল উন্নত মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং ক্রিয়াকলাপের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ ধরনের কাজের জন্য, পাইথন বা R প্রোগ্রামিং ভাষা এবং টেন্সরফ্লো, পাইটর্চ, সিকিট-লার্ন এর মতো ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত।
- সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তি: এক্সেল ফাইল সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় এবং বড় টিমের কাজের জন্য এটি নিরাপত্তির দ্বারস্থ। আধুনিক ডাটা সায়েন্স টুলস এবং ভার্চুয়াল নিরাপত্তি প্রদানে পাইথন, R, এবং সার্ভার-ভিত্তিক সিস্টেম বেশি কার্যকর।
- ভার্সন কন্ট্রোল: এক্সেল ভালো নয় যখন টিম ভিত্তিক কাজ এবং ভার্সন কন্ট্রোলের ব্যাপারে বিবেচনা করা হয়। এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য গিট এবং নোটবুকের মতো টুলস ব্যবহার করা উচিত।
উল্লেখযোগ্য হলেও, মাইক্রোসফট এক্সেল ডাটা সায়েন্সের জন্য সবচেয়ে উন্নত বা শক্তিশালী টুল নয়।